মোঃ ফারুক হোসেন, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ নওগাঁ জেলার বদলগাছীতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে উপজেলার মিঠাপুর ইউনিয়নের মিঠাপুর ফকিরপাড়া (আহসান হাবিব) জামে মসজিদের জন্য ২০২১-২২ অর্থ বছরের টি.আর প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দকৃত টাকা জাল জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মিঠাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আহসান হাবিব (হাবিল) এর বিরুদ্ধে।

 

জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থ বছরের টি.আর প্রকল্পের আওতায় ফকিরপাড়া জামে মসজিদের জন্য ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস। বরাদ্দকৃত টাকার কোনও কাজ না করে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

 

মসজিদ কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ বলেন, সরকারি ভাবে টি.আর প্রকল্পের আওতায় ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় আমাদের মসজিদের উন্নয়নের জন্য । জালিয়াতির মাধ্যমে আহসান হাবিব (হাবিল) উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে ভূয়া কমিটি দাখিল করে মসজিদের বরাদ্দকৃত টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি মসজিদ পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ জানতে পেরে আহসান হাবিবকে মসজিদের উন্নয়নে বরাদ্দকৃত সরকারি টাকা মসজিদ কমিটিকে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে উল্টো তিনি মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যদের উপর চড়াও হন এবং নানাভাবে ভয়-ভীতি দেখান।

 

মিঠাপুর ইউপি সদস্য মোঃ হারুন রশীদ বলেন, আমাদের ফকিরপাড়া মজদিদের নামে টি.আর প্রকল্পের টাকার কথা আমরা কেউ জানি না। আর মসজিদে সরকারি কোনও টাকা দিয়ে কাজ করা হয়নি। যা কাজ করা হয়েছে তা আমাদের সকলের দানের টাকায় এবং আমেরিকা প্রবাসী আমার এক ভাইয়ের দানের টাকায়। মসজিদের একটি টয়লেট করা হয়েছে সেটা একটি হেরিং সড়কের সাড়ে তিনশ থেকে চারশ ইট তুলে নিয়ে। মসজিদের বাঁশ বিক্রির ৬ হাজার, গাছ বিক্রির ১৩ হাজার এবং আমার বোনের দানের ১০ হাজার টাকা ওই টয়লেটে খরচ করা হয়েছে। সরকারি টি,আর প্রকল্পের টাকায় টয়লেটের কোনও কাজ হয়নি। আমরা টি,আর প্রকল্পের কথা জানতে পেরে আহসান হাবিবকে বললে তিনি আমাদের সাথে গন্ডগোল করেন এবং আমাকে নানাভাবে হুমকি দেন। সরকারি ৫০ হাজার টাকার একটি টাকাও মসজিদের উন্নয়নে আহসান হাবিব খরচ করে নি। এর সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে গ্রামের সকল লোকের স্বাক্ষর নিয়ে আমি ডিসি মহোদয়ের কাছে অভিযোগ দিব।

 

এ বিষয়ে আহসান হাবিব বলেন, ফকিরপাড়া মসজিদ সংস্কার করার জন্য টি.আর প্রকল্পের আওতায় ৫০ হাজার বরাদ্দ হয়। আমি পিআইসির সভাপতি হিসেবে টি.আর প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করে মসজিদে কাজ করেছি। প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী মসজিদ কমিটির সদস্য ছাড়া অন্য কেউ পিআইসির সভাপতি হতে পারবেন না। তাহলে আপনি কিভাবে পিআইসি’র সভাপতি হয়ে টাকা উত্তোলন করলেন এবং কাজ করলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই বরাদ্দটি এমপি সাহেবের বরাদ্দ তাই আমি পিআইসি’র সভাপতি হয়ে টাকা উত্তোলন করেছি এবং মসজিদের কাজ করেছি। কাজ করার বিষয়টি মসজিদ কমিটির কাউকে জানাইনি।

 

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ময়নুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।প্রকল্প বাস্তবায়নের শর্তাবলীর মধ্যে উল্লেখ আছে যে, প্রতিটি প্রকল্পের বর্ণনাসহ যথাযথ সাইজের সাইনবোর্ড দৃশ্যমান স্থানে স্থাপন বাধ্যতামূলক এবং গৃহীত/প্রস্তাবিত প্রকল্প সরেজমিনে পরির্দশন করে বরাদ্দকৃত অর্থ দেওয়ার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি আমার উর্দ্ধতনের অনুমতি ছাড়া কিছু বলতে পারবো না।